সিজার করে সন্তান প্রসাব করানো কি শরী‘আত সম্মত?

পাবলিশঃ 5 months ago
দেখেছেনঃ 164

সিজার করে সন্তান প্রসাব করানো কি শরী‘আত সম্মত?

নরমাল ডেলিভারি সম্ভব হলে সিজার করা জায়েজ নেই। সিজারের দ্বারা নিজ শরীরের ক্ষতি করা হয়, যা ইসলামে নিষিদ্ধ। তবে জরুরি অবস্থা বলে একটা কথা আছে। একান্ত অপারগতাবশত সিজার করতে কোনো সমস্যা নেই। অর্থাৎ যখন বাচ্চা বা মায়ের জীবননাশের বা বড় কোনো ক্ষতির আশঙ্কা হয় এবং কোনো বিজ্ঞ চিকিৎসক সিজার করাতে বলেন, তখন সিজার করানো যাবে। 


কোনো  চিকিৎসক বা প্রতিষ্ঠান নিজেদের স্বার্থে সিজার করাতে বাধ্য করলে তারা অবশ্যই গুনাহগার হবেন। দুনিয়াবি দিক থেকেও এটা মারাত্মক অপরাধ।

আর কেউ বিশেষ কোনো সমস্যা না থাকা সত্ত্বেও নিছক প্রসব বেদনা থেকে বাঁচতে স্বেচ্ছায় সিজার করাতে চাইলে তাও জায়েজ হবে না। 


সিজারের মধ্যে ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে বেশ কিছু নিষিদ্ধ দিক রয়েছে।

১. সিজারের দ্বারা নিজ শরীরের ক্ষতি করা হয়, যা ইসলামে নিষিদ্ধ। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা নিজেদের ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়ো না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৯৫) যাঁরা সিজার করেছেন তাঁরা এ বিষয়ে অবগত আছেন। সারা জীবন এর কষ্ট বয়ে বেড়াতে হয়। এ ছাড়া ভারী কোনো কাজ করা যায় না। তিনটি সিজারিয়ান অপারেশনের পর পরবর্তী জীবনে কখনো পেটে অপারেশনের প্রয়োজন হলে জীবনের জন্য বড় ধরনের ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হয়।

নবজাতক ও মাতৃস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চিকিৎসাশাস্ত্রের বিবেচনায় প্রয়োজন নেই—এমন ক্ষেত্রে সিজার করা হলে মায়ের প্রসব-পরবর্তী সংক্রমণ বাড়ে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। অঙ্গহানিও হতে পারে। শুধু তাই নয়, অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান ডেলিভারি সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রেও একটি বড় প্রতিবন্ধকতা।

২. অধিক সন্তান ধারণের দিক থেকে অনেকটা পঙ্গুত্ববরণ করতে হয়। কেননা সিজার করলে দুই-তিনটির বেশি সন্তান নেওয়া যায় না। অথচ রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা ভালোবাসাপ্রবণ ও অধিক সন্তান জন্মদানে সক্ষম নারীকে বিবাহ করো। আমি কিয়ামতের দিন উম্মতের আধিক্য নিয়ে গর্ব করব।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ২০৫০)

৩. বিনা প্রয়োজনে কোনো পুরুষকে সতর দেখানো হয়। কোনো পুরুষ চিকিৎসক অপারেশন করলে তো বিষয়টি স্পষ্ট। আর মূল অপারেশন কোনো নারী চিকিৎসক করলেও সাধারণত অ্যানেসথেসিয়া (অবশকরণ) বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পুরুষ চিকিৎসকই করেন।

৪. অর্থের অপচয় হয়। কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা অপচয় কোরো না। নিশ্চয়ই অপচয়কারীরা শয়তানের ভাই। আর শয়তান তার রবের সঙ্গে কুফুরি করেছিল।’ (সুরা বনি ইসরাঈল, আয়াত : ২৬-২৭)

৫. সর্বোপরি সিজারিয়ানের মাধ্যমে মুসলিম দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে কাফিরদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা হয়।

সিজার সম্পর্কিত অন্যান্য প্রশ্ন সমূহ

সিজার করে সন্তান প্রসাব করানো কি শরী‘আত সম্মত?